সত্যি কথা বলতে কি, আমার যাবার তেমন ইচ্ছে ছিল না। ফিরে আসার পরেও মনে হচ্ছে, না গেলেই কি ভাল হত? শুধু তো ক’টা টাকার জন্য। কাজটা পড়েছিল শুক্রবারে। তার মানে আবার অফিসে ছুটি নিতে হবে। ছুটির দিন হলেও না হয় একটা কথা ছিল। চট করে যাওয়াই যায়। কিন্তু, শুক্রবার সারাদিনের কাজ। ব্যস্ততার বহর এখন ঠিক বোঝাও যাচ্ছে না। খোলসা করে ওরা বলছেও না কিছু। অথচ ভোরবেলাতেই বেরিয়ে পড়া, গভীর রাত অবধি কাজ। যদি কোনও কারণে শুক্রবারের পরের দিনটা অফিসে না যেতে পারি, সোমবার অফিসে ঢুকে বড়সাহেবের মূর্তির দিকে আর তাকানোই যাবে না। ভাবছি বেশ খানিকক্ষণ। ভাবার সময় দিলে তো। মুম্বই থেকে ক্রমাগত তাগাদা দিয়ে চলেছে রাজু। সমানে মেসেজ। শিগগির জানান। এটা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে প্রজেক্ট। আপনি রাজি হলে তবেই ওদের সঙ্গে ফাইনাল কথা হবে। অফিসের কাজের ফাঁকে টুং টাং করে হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজ। এই এক জ্বালা হয়েছে। যখন-তখন যেখানে-সেখানে ফোন বেজে ওঠে। ফোনে পাওয়া গেল না তো তাকে খুঁচিয়ে যাবার একশো এক তরিকা। নিঃশ্বাস নেবার ফুরসত দেবে না। যাকে চাই, তাকে তক্ষুনি চাই।
by শ্যামলী আচার্য | 24 October, 2021 | 3272 | Tags : Short Story by Shyamali Acharya leather skin