পুঁজিবাদ এগোনোর পথে মাঝেমাঝেই ঝাঁকি দিয়েছে, প্রযুক্তির ধাক্কায়। সেই জেমস ওয়াটের স্টিম এঞ্জিন আবিস্কার থেকে,আজকের কম্পুটার, স্মার্টফোন এসবই এক একটি ডিসরাপটিভ বা ওলোটপালোটের প্রযুক্তি। এগুলি এসে মানুষের প্রচলিত ধারণাকে ভেঙেচুরে দিয়েছে। মানুষ তা গ্রহণ করতে নারাজ হলেও শেষমেষ মানতে বাধ্য হয়েছে। বিটকয়েন বা ক্রিপটোকারেন্সি তেমনই এক ভয়াবহ চমৎকার ডিসরাপটিভ প্রযুক্তি। যা মুদ্রা ও অর্থব্যবস্থার উপরে রাষ্ট্র তথা বিপুল শক্তিশালী ব্যাঙ্ক গোষ্ঠিপতিদের নিয়ন্ত্রণ খর্ব, এমনকি লুপ্ত করতে পারে। অনেকেই মনে করেন, মুদ্রা বা টাকার পিছনে রাষ্ট্রের বরাভয় না থাকলে তা চলতে পারে না। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে হয়, ঈশ্বর যেমন মানুষের সৃষ্টি তেমনি মুদ্রা বা টাকাও মানুষের সৃষ্টি, লেনদেনের বা বিনিময়ের জন্য। রাষ্ট্র সেই মানুষের সৃষ্ট মুদ্রাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে ও করছে, যেমন করেছে ও করছে মানুষের সৃষ্ট ‘ঈশ্বর’কে। সেই নিয়ন্ত্রণ খর্বিত হওয়ার ভ্রূণও যদি ক্রিপটোকারেন্সিতে থাকে (যা মনে হয় আছে) তাহলে ক্রিপটোকারেন্সিকে আবাহন করা দরকার।
by অমিত দাশগুপ্ত | 09 April, 2022 | 1706 | Tags : Cryptocurrency Bit Coin Revenue